প্রকাশনী

চাপাডাঙ্গার ব‌উ বইয়ের লেখক তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় (Chapadangar Bou) বিভূতিভূষণের উপন্যাস মোটামুটি সব শেষ করে ফেলার পর আমার মধ্যে হতাশা কাজ করছিলো,এরপর কি পড়বো? এখন আর সেই ভয় নাই। কারণ তারাশঙ্কর সেই অভাব নিশ্চিতভাবেই পূরন করবেন। চমৎকার লেখার গাঁথুনি,কাহিনী বিন্যাস,গ্রামীন জীবনের দারিদ্র্যতার,সুখ দুঃখের গল্পের সুনিপুণ বর্ননা দিয়ে তারাশঙ্কর আমার হৃদয় হরন করিলেন। সাধু ভাষায় লেখা এই

বইটি প্রথম প্রকাশ হয়েছিল 1942 সালে! এত আগে প্রকাশের মোটামুটি 80 বছর পর বইটি পড়া কতটুকু যৌক্তিক? আমাদের সমসাময়িক সময়ে পত্রের আবেদন কতটুকু সে প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে বইটির লেখক সম্বন্ধে একটু বলি নিই। অধ্যাপক নীহার কুমার সরকার তাঁর শিক্ষা জীবনে অর্থনীতিতে এম.এ (প্রথম শ্রেনী) করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, তারপর লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাভ করেন ডক্টরেট

অনুবাদক : সুজন চৌধুরী কাহিনী সংক্ষেপ : ১৯৪৭ সালে হিন্দু মুসলিমের ভিত্তিতে হওয়া দেশভাগের কারণে সারা ভারতবর্ষ যখন উত্তাল ঠিক সেই সময় পাঞ্জাবের এক গ্রামে তখনো খারাপের ছোঁয়া লাগেনি। সেই গ্রামের নাম মানো মাজরা।শিখ অধ্যুষিত মুসলমান সম্প্রদায়ের এই গ্রামের এক মুসলমান ঘরের মেয়ের নাম নুরান। নুরানের প্রেমে পড়ে একই গ্রামের জগুৎ সিং নামের এক শিখ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উপন্যাসিক অদ্বৈত মল্লবর্মণ ১৯১৪ সালে বাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের নিকটবর্তী তিতাসপাড়ের গোর্কণঘাট গ্রামের এক মালো পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দারিদ্রের সাথে তাকে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়েছে। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড:  অচিন্ত্য বিশ্বাসের সম্পাদনায় রাজনৈতিক উপন্যাস ‘সাদা হাওয়া’ ১৯৯৬ সালে এবং ‘রাঙামাটি’ ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত হয়। ‘তিতাস একটি

মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত প্রাণ হলো বলিদান লেখা আছে অশ্রুজলে – “মোহিনী চৌধুরী” শৈশব-কৈশোর মফস্বলে কাটলেও গ্রামের বাড়ি কাছাকাছি হওয়ায় ছোটোবেলায় আমার বেশ কিছু সময় কেটেছে গ্রামের বাড়িতে। সেখানে বাবা-চাচা-দাদার মুখে মুক্তিযুদ্ধের নানা গল্প শুনেই মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। পরবর্তীতে আমি মুক্তিযুদ্ধের ওপর কিছু বইপত্র আর ইন্টারনেটের সুবাদে অল্পবিস্তর পড়াশুনা করেছি। কিছু বিষয় বারবার

অনুবাদক : তানজীম রহমান ও লুৎফুল কায়সার ❝মানুষের মতো ঋতুরাও বদলে যায়।❞ না-কি ঋতুর মতো মানুষেরা পালটে যায়? হয়তো দুটোই ঠিক আবার একটি সঠিক। এই নিয়ে বিস্তর গবেষণার দরকার পড়ে না৷ মানুষের স্বভাবচরিত্র যে কেমন সেটা নিজেকে প্রশ্ন করলেও জানা হয়ে যায়। নিষিদ্ধ চাহিদার প্রতি মানুষের বরাবরই আকর্ষণ তুঙ্গে৷ লোভ, চাহিদা, কামনা-বাসনা তো সবকিছুর ঊর্ধ্বে।

“Fear is good, it tells you where the edge is.” মাঝরাত। আমি আর সালেহীন ভাই তার বাড়ির ছাদে বসে আছি। উনি তার জীবনের একটা গল্প শোনাবেন। সালেহীন ভাই বেশখানিকটা সময় নিয়ে দু’কাপ কফি বানালেন। তারপর একটা সিগারেট ধরিয়ে বড় সড় একটা টান দিয়ে বললেন, “ঘটনাটা কিন্তু বড়। যদি শুরু করতে চাই তাহলে অনেক পেছন থেকে

শাহাদুজ্জামানের জন্ম ১৯৬০ সালে ঢাকায়। আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসা  নৃবিজ্ঞানে পিএইচডি অর্জন করেন। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। গল্প, উপন্যাস ছাড়াও প্রবন্ধ, অনুবাদ, ভ্রমণ এবং গবেষণার ক্ষেত্রে রয়েছে তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। প্রকাশনা সংস্থা মাওলা ব্রাদার্স আয়োজিত কথাসাহিত্যের পাণ্ডুলিপি প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেয়ে প্রকাশিত হয় শাহাদুজ্জামানের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘কয়েকটি বিহ্বল গল্প’ (১৯৯৬)। ‘মামলার সাক্ষী ময়না

অনুবাদক : প্রান্ত ঘোষ দস্তিদার ঠিক ১৬ বছর আগে একটা খুন হয়। খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় স্বামী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত স্ত্রী ক্যালোনাইন এবং ১ বছর পর জেলেই মারা যায় সে। ঠিক ১৬ বছর পর যখন ডার মেয়ের বয়স ২১ বছর , তখনই তার হাতে পৌঁছায় ক্যালোনাইন ক্রেলের লেখা শেষ চিঠিটি। চিঠির লেখা পড়ে শেষে